• তর্পণ

    দুই হাত পুরে জল নিয়েছি মা গো মুখ খোলো এই আলগা মুঠি এর আঁধারের মূলে আছে স্রোতস্বিনী কোনো সপ্তদ্বীপের মাটি কোটি কোটি বৎসরের প্রায় ধুয়ে ধুয়ে চন্দনপাটায় পড়ে বরষাসম্ভবে তাই মুঠি ভরে নিয়ে আসি মুখে পুরে দিই আলো জল আলো আলো আলো জল অথচ এ মহালয় মাতৃচ্ছায়াহীন। এ মন্দিরে দেবী নাই। আবক্ষ গাহন করি নদীগর্ভে […]

  • আক্ষেপ

    চাবুক সইতে পারি, যদি ওহে দীননাথ, ঘোড়া চৈতন্যে কেশর পাই, ক্ষুরে বাজে নূপুরের দূর আমাকে যথেচ্ছ মারো কিন্তু প্রভু রণভূমি জোড়া দিয়ে যাও শত্রু কিছু, জিতে আসি দস্যুর ত্রিপুর তা নয়, নিশষ্প মাঠে কেটে গেল আঠেরো বছর! রশিটি নামিয়ে রেখে কথকতা শুনে গেল দিন প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে, হে মাধব, জরাদীর্ণ স্বর চাকায় উঠেছে ঘাস, কপিধ্বজ […]

  • মীরাবাঈ

    বাসটা ঢাকুরিয়া ব্রিজ ক্রস করছে, ঠিক এমন সময়ে আধ সেকেন্ডের জন্য শুভদীপের মনে হয়েছিল কাজটা হয়তো সে ঠিক করছে না। এতদিন বাদে কৃষ্ণার বাড়ি হঠাৎ গিয়ে পড়া… কিন্তু ঘড়িতে সেকেন্ডের কাঁটা একঘর পেরনোর আগেই মাথা থেকে সে চিন্তা উবে গেল। কৃষ্ণা কী করবে? রাগ বা অভিমান? সেসব নিপুণ দক্ষতায় ম্যানেজ করতে কী বহুকাল আগেই শিখে […]

  • সম্পাদকীয়

    আবার সে এসেছে ফিরিয়া! আকাশে ব্লটিং নীল তার ফাঁকে সাদা সাদা থোপা থোপা জলদগম্ভীর মেঘ ছানাদের ইতিউতি, চারপাশের কচি নেড়ি দের ছুটোছুটি, সদ্য বর্ষায় চান করা ঝকঝকে সবুজ পাতায় এক রত্তি পাখিদের কিচির মিচির, প্রাক সন্ধের মেঘে আলোয় রঙিন স্বপ্নের ঝালর যাকে বলে ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্তফিলিস! এবং কি আশ্চর্য কিছুদিন আগে এক অনলাইন বন্ধুর […]

  • মাছি

    “কতদিন থেকে হচ্ছে আপনার এটা?” ” মাস দুয়েক” ” ইরেসিস্টেবেল ফিয়ার দ্যাট ইয়োর বয় ফ্রেন্ড উইল কিল ইউ? নাকি কোনো সেক্সুয়াল ডমিনেশানের ডিজায়ার?” ” না, অনলি ফিয়ার। হি উইল স্ট্যাব মি টু ডেথ” ”আপনার প্রেমিক লয়াল?” ”ভয়ানক, সারাদিন পড়াশুনো করে। হি ইজ অ্যা রিসার্চার। অন্য মেয়েদের প্রতি আগ্রহ নেই, চোখে হারায় আমাকে।” ”সে কি ওভার […]

  • অলিন্দ

    একটা অলিন্দের বড় শখ কঙ্কনার| পুষ্কর বলেছিল‚ ‘রিটায়ারমেন্টের পর যখন বাড়িটা বানাব তখন তোমার জন্য একটা বারান্দা বানিয়ে দেব|’ ‘বারান্দা  নয় বল অলিন্দ’ ‚ হেসে বলেছিল কঙ্কনা| কঙ্কনার মায়েরও বড় শখ ছিল লাল মেঝের কুলুঙ্গিকাটা একটা অর্ধবৃত্তাকার অলিন্দের| তিনি তখন খুব ছোট যখন পূর্ববঙ্গ ছেড়ে চলে এসেছিলেন| ছোটবেলার অনেক কিছুই ভুলে গেলেও অলিন্দের কথাটা কিছুতেই […]

  • ব্যোম

    বুড়িটা হাঁটছিল টুক টুক করে | খিদে নেই তার | সকালে সেই একসানকি পান্তা খেয়ে বেরিয়েছে , ছোটছেলের বউ আজ তাতে ভালোবেসে আবার একটা কন্দ আলু ও দিয়েছিল | ভারী সোয়াদ তার | আর ঘন্টা দুএক হাঁটতে পারলেই হলো | তারপরে আর এসব নিয়ে ভাবনা চিন্তার দরকার হবে না | আজ কে রোদ ও নেই […]

  • অরণ্যে আমার আবাস

    এক প্রাক-অরণ্য বাসের দিনগুলি চুড়োয় চুড়োয় আটকে থাকা মেঘ আর কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে মাইলের পর মাইল জুড়ে জন্মাবধি দাঁড়িয়ে আছে ঘন জঙ্গলে ঘেরা পৃথিবী বিখ্যাত আকরিক লোহা-পাথরের সারি। এই পাহাড়শ্রেণীর সবচাইতে উঁচু পাহাড়ের নাম লোহাপাহাড়। লোহাপাহাড়ের চুড়োর কাছে  ক্যাম্পের নাম লোহাপাহাড় হিল টপ ক্যাম্প আর পাহাড়তলির ক্যাম্প হল লোহাপাহাড় বেস ক্যাম্প।  দুই ক্যাম্পের  যাতায়াতের […]

  • অপরিচিতাকে

    দূরের শহরখানি ভালো থাক। তোমার শহর, তাই। তোমার ধুলোর পথ। নদীও তোমার।   তুমি তাকে চিনিয়েছো। হাত ধরে নিয়ে গেছ গ্রীষ্মদুপুরে। জল নেই। লোক নেই। শুকনো খাতের বুকে বালি আর নুড়ি। মায়ার পাথর।   একদিন ওইখানে দেখা হবে। ঠিক। তুমি দেখো। একদিন ওইখানে তোমার আঙুল ছুঁয়ে দেব।   যতখুশি আড়ালে দাঁড়াও। যত পারো, দূরে যাও তুমি। চিনে নেবো।