• জোড়া অণুগল্প

    ঘুম অফিসঘরের জানালাগুলোয় কালো কাচ টানা। বাইরেটা তাই মেঘলা সারাক্ষণ। চোখের আরাম। যাকে বলে, সুদিং। স্বপ্ন স্বপ্ন। স্বপ্ন পাচ্ছে এখন বাপির। এই ভর বিকেলে। ভীষণ অপ্রত্যাশিত। যাকে বলে, কি যেন, হ্যাঁ আনলাইকলি। কিন্তু তাও পাচ্ছে। এসিটা ষোলতে। টেবিলের ওপর পড়ে থাকা মোবাইলটা শীতে কেঁপে উঠছে মাঝেমাঝে। ঈপ্সিত কাঁপনটা তো রাতে আসবে… না? হ্যাঁ… রাতে… মোবাইল […]

  • উত্তাপ

    উত্তাপ চেপে আছো তুমি, বোঝ না, বুকের ভেতর  চাপা আছে সেই সুপ্ত জপমালা।  না হয় আবার নতুন ভাবে শুরু করি বস্ত্রশুদ্ধি,   সন্ধি চাই,  পরিপাটি  জীবনের সাথে না হয় আর একবার বোঝাপড়া হোক  আবার নিজের জাগায় ফিরে ভাবি।   দেখো তোমার মাঝে একটা পৃথিবীর শৃঙ্খল আছে  তাকে সাজিয়ে গুছিয়ে শাসনের আওতায়  মন্ত্রণার চৌকাঠে স্বস্তির পরাকাষ্ঠায় […]

  • সজ্জাতুর

    সজ্জাতুর তুমি  আতুর ঘুমেও মরা চাঁদ তোমার গা বেয়ে নেমে আসে    সবাই যখন ঘুমোয় মাঝ রাতে জেগে ওঠো তুমি  কিছু মানুষ আর্দ্রতার ছায়ায় ঘুমের দুঃস্বপ্ন দেখে।  আর কতটা জায়গা চাই উড়ে যাবার ? এখানে প্রশস্ত আকাশ নেই অথচ আরো হালকা হয়ে যেতে যেতে শরীর  দুঃখ বিনা জীবনের অনুভব মরে যায়  পাতার ঘরে যে বসে […]

  • রূপান্তর

    আমার নতুন কলসি থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখে তাকাই নদীর খোলা বুকে, জল নেই, আছে ধোঁয়া সমস্ত নিসর্গে আজ সরকারি ম্যাজিক!  আঙুল-কাটার নিয়ে নেমে আসছে ব্রিটিশ বণিক মসলিন-বাজারে, যারা ওদের কপালে টিপ দিচ্ছে  তাদের আঙুল নেই কারও, সূর্যের শরীর থেকে আজ মাংস খুবলে খাচ্ছে অভুক্ত ও হিংস্র চাঁদবেনে পলকে রঙিন হল সাদা-কালো পূর্ণ একটি গ্রাম […]

  • এসো, প্রশন্তির এই ঘর-দোরে

    এসো, প্রশন্তির এই ঘর-দোরে এসো, প্রশান্তির এই ঘর-দোরে ঋজু মোম জ্বালি জ্বালা যন্তণার সমস্ত পোশাক খুলে আমার খালি বুকে হাত বোলাতে বোলাতে তোমার ঝাল-মশলা ডিটারজেন্ট অধ্যুষিত হাতের খরা ধানজমি হয়ে যাক কররেখা দিয়ে বয়ে যাক সেচ দপ্তরের ছাড়া সময়ের জল বাঁচুক সংসারি বানমাছ, কাঁকড়া দম্পতি মেঠো পথের মতো হাতে জড়িয়ে ধ’রে দৃষ্টিতে তুলে ধরো জীবনের […]

  • আবহ

    আবহ আজ বস্তু ছেড়ে আলো  কিছুতেই যেতে যে চাইছে না তা নিয়েই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক আলোচনা   ‘এতো মায়া’ বলেছিল নির্জন মানুষ বলেছিল ‘কথার ভিতরে সেই মাদুরের মণিহারি বোনা’   লোকায়ত কালচে হিমে ভিজে যাচ্ছে পুরোনো কামান, এলোমেলো চুল, মাথাপিছু প্ররোচনা   ছোট-ছোট সত্যে আজ চমকে উঠছে মন এ নিয়েই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক […]

  • গুপ্তযুগের বণিক সংঘ

    দেড় হাজার বছর আগেকার কথা । গুজরাটের লাট থেকে একদল রেশম-তন্তুবায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে এসে পৌঁছল মধ্য ভারতের দশপুর নামে এক ছোট্ট শহরে। কেন তাদের আদি বাসস্থান ছেড়ে এতদূর আসতে হল, ইতিহাস থেকে সে কথা জানা যায় না । কিন্তু এখানে এসে তারা তাদের নতুন জীবনে যে অত্যন্ত সম্পদশালী হয়ে […]

  • শিবদুগ্গার আধার কার্ড

    ওগো শুনছ?  এবার তোমাদের সকলের মর্ত্যে যাওয়াটা নাকি খুব চাপের,  তোমরা বরং যেও নি বাপু । শিবু দা বলে বসলেন। দুগ্গা বৌদি শশব্যস্তে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে বললেন, আবার সেই এক কথা, প্রতিবারের মত। আমাদের যাওয়া টা ভেস্তে না দিলে মিন্‌সের নেশাটা ঠিক জমছে না। বলি কি হল বাপু? তোমার সব ব্যাবস্থা তো করে দিয়েই রওনা […]

  • ভৈরবী

    ঘুম থেকে চোখ মেললেই জানলা দিয়ে নিমগাছে কাকের বাসাটা দেখতে পায় জিনি । ছোট্ট ছোট্ট ছানা, মুখের ভিতরটা কেমন লাল লাল, মায়ের চারপাশে কলবল করছে খাবার জন্য। ঘুমচোখ জলে ভরে গেল জিনির। মা কতদিন তাকে খাইয়ে দেয়না! ভাল করেই কথাই বলেনা। কি দোষ করেছে সে!  বুকের মধ্যে ভাবলেই মুচড়ে ওঠে। এজমালি বাড়িতে তাদের ভাগে কুল্যে […]