পরবর্তী আকর্ষণ

[১]

দরজার পিছনে অপেক্ষা করে আছে মশালাদার মন-খারাপ।কারণ,কবিতা উপযোগী যেসব লাইন-টাইন আমি প্রায়ই ভাবি-টাবি,তারা সাধারণতঃ কোনো উপ-সংহারে পৌঁছয় না।

একবার একটা লোক মউমাছি খুঁজতে গেস্‌লো,আর মেয়েটা দিব্যি হেলান দিয়ে দাঁড়ালো কৃষ্ণচূড়ার ডালে।এখান থেকেই দৃশ্যটা ফেড্‌-আউট করে যায়। শুরু হয় জনতার আহাজারি।চলচ্চিত্রের দাবিতে প্রবুদ্ধ পরিচালক এখানে একটা গান গুঁজে দেন।

“জানেমন্‌,জানেমন্‌

তেরে দো-নয়ন

চোরি চোরি লে কে গ্যয়ে

দেখো মেরা মন………”[এইস্থলে স্‌সুন্দরী অভিনেত্রী কিঞ্চিৎ ছেনালী-ভরে আঁচল টেনে লয়।]

[২]

অই গাছে পিঠ দেওয়া মেয়েটার গল্প আগে বেশ কয়েকবারই বলা হয়েছে। কল-ঘরে চান করতে গেলে শ্যাওলা পড়া দেওয়ালে কেঁপে যেত ছায়া।

মেজবাবু,ছোটোবাবুদের ন্যাংটো দৃষ্টি ছুঁয়ে ফেলতো শিরদাঁড়া আর পিঠের ঢাল।মেয়েটার রহস্য-পুলক জাগতো। কিছু নিশ্চয়ই আছে হে কত্তা,নাহলে দেখবে কেন। ঠিক এই-সময়ই কাক-শালিখের বৃষ্টি ঢুকে পড়ে খোলা ছাদের আড়ে।

এ হেন মেয়েটা একদিন অকারণে মালতীলতা হয়ে গেল চিলেকোঠায়।পাশের দালান থেকে মেজবাবু,ছোটোবাবু দেখতে পেল রবীন্দ্র-রচনাবলীর সমতলে ফ্যাকাশে পায়ের গোছ,যার ডিমে এখনো একটি সুপুষ্ট মশা,বিশ্রামে অথবা ঢলঢলে রক্তের আশায়।

তারপর থেকে বাবুদের কেউ একজন প্রায়ই গাইতে লাগলো-“ওই মালতীলতা দোলে,পিয়াল-তরুর কোলে…….”

এটা নিছক গল্প।রবিবাসরীয়তে অনেকবার বেরিয়েছে।গানটা আমরাও বহুবার শুনেছি(ইদানিং এফ.এম.এও দিচ্ছে )।সেই থেকে মালতীলতা শব্দটা জাঁকিয়ে বসেছে আমাদের কবিতায়। অবশ্য বাবুদের কোনজন গানটা গাইত,তা বলার দায় আমার আজো নেই।

একটি ক্লু – বড়বাবু হতেও পারে,যদিও তখন সে মউমাছি খুঁজতে গেস্‌লো।

[৩]

বহুদিন ডিকশ্‌নারী জানতে পারেনি যে এলিজি শব্দের অর্থ শোকগাথা। সকলেরই শব্দ নিয়ে খেলার বয়েস থাকে।লোলচর্ম হাড়-হাভাতের কালে ফের খুঁজে পাওয়া যায় নতুন কিছু খেলা।

এ কেবল ছোটি সি শুরুয়াৎ। আমাদের অন্দরমহলে যে সব ছায়া ও রঙ লুকিয়ে থাকে কবে কে জেনেছে তার একান্ত চারণ!!!

পৃথিবীর কঠিনতম আয়াসসাধ্য কাজ হলো গার্হস্থ্যকে শব্দে লেখা।তাই সম্ভবতঃ বোঝানো অসম্ভব যে প্রতিটি আগমনী উৎসবের আড়ালে কেমন গুড়ি মেরে লুকিয়ে থাকে বিসর্জনের ভূত।কিভাবে রোদমাখা শরতের পটভূমিতে বেঁচে থাকে শীত ও পত্‌ঝর সব বৃক্ষেরা।

সাধারণতঃ এ থেকেই বেঁচে ওঠে শোকগাথা ও শোকের কন্সেপ্ট।জন্ম নেয় নতুন নতুন গল্পো।

[৪]

আমাদের মউমাছি-খোঁজনেওয়ালা সেই বাবুটির নাম ধরি অবিনাশ।এবং এ এক আজব অভিযান,এবং অসম্পূর্ণও তাই।কারণ তো আগেই বলেছি ,আমাদের নিষিদ্ধ যত খোঁজ,কে কবে জেনেছে তার একান্ত চারণ।

“এবার খেলা অন্যরকম হোক

জল-খাবারের গল্প শুনুক লোক

তেল-আগুনের কাছে ”

[৫]

“আমাদেরও অভিমান আছে,

আমাদেরও রাগ-টাগ হয়।

আমাদেরও মিছে ভুলে থাকা-

স্বাভাবিক অভ্যেস নয়।“

অবিনাশ ইদানীং আর হৃদয় নিয়ে ভাবে না তেমন।কারণ বহুকাল এমনই কেটে গ্যাছে বিষাদে বিষাদে।আজকাল তাই মনখারাপ এর অষুধ ছাড়া ঘুম হয় না। ক্যামেরায় জুম-ইন করে কিছু নীলাভ হৃদয়।

কে কবে ভেবেছিল মনখারাপ,যে মনখারাপ বস্তুতঃ নীলআভা, ভেষজোপম,তা ও আসলেই এক জটিল ব্যাধি।

অবিনাশের গলির গভীরে অসংখ্য ভাঙা-চোরা পুর’নো বাড়ির ভিড়।যারা স্বভাবতঃই কোনো গল্প-উপন্যাস হয়ে উঠবার আশা রাখে না।

এ গলির আস্তাকুঁড়,শ্যাওলা-ধরা কলপাড়,খিস্তি-খেউড়ের রোমাঞ্চময় স্বর্গ পেরিয়ে ভাঙা তক্তা,চেয়ার-টেবিল এ ঘুম যান হ্যাংলা ঈশ্বর।এই রোগাক্রান্ত প্রতিটি সন্ধ্যায় সামনের বাড়ির ঘোষ বাবুর মেয়ে মন্টি ন্যাকা ন্যাকা গলায় গান ধরে-

“মম শূন্য গগন-বিহারী

আমি আপন মনের মাধুরী মিশায়েতোমারে করেছি রচনা।”

অবিনাশ তখন দিব্যি বুঝতে পারে তার অংশফলকে লুকিয়ে থাকা ডানার কুঁড়ি ফুটে উঠছে আবার।দীর্ঘপক্ষ অবিনাশ ডানা ঝাপটে আবছা হ্যালজেনে কিছু পাক খায় পুরনো বাড়িগুলোর কার্নিশ ঘেঁষে,তারপর ফেলে যায় ঘর-দোর,সন্ধ্যের রোয়াক,আর এই একটেরে পাড়া।

কাট………………………

পাঠক,দয়া করে ভুল করবেন না এখানে। অবিনাশ কোনো ফ্যাতাড়ু নয়।সে নিতান্ত এক পক্ষী-মানব।

(ডানার বীজ আমাদের সকলেরই থাকে।কারো উড়ালের গল্প থাকে,কারোর থাকে না। পাঠক ,মনে করো সূর্য্যের পানে ইকারুসের উড়ান।মনে করো সেই কিশোরী বউটি,শাশুড়ির গঞ্জনায় যে ডানা ম্যালে।

সুতরাং,অসম্ভব কিছু নয়।কারো কারো কৌমচিহ্ন পাখি হতে পারে,আমার যেমত চিহ্ন গলিত কুষ্ঠের।)

[৬]

আশ্চর্য্য এক লোডশেডিং এর সন্ধ্যায় অবিনাশ ডানা মুড়ে এসে বসে সাদাটে মস্ত দেউড়ীঅলা এক বাড়ীর আলসেয়। দরজা ঠেলে দেখতে থাকে সিঁড়ি দিয়ে পিছলে পড়া আলো ও আধাঁর।মন্দ্র স্বরে বেগম আখতার বলে ওঠেন “পিয়া ভোলো ,ভোলো অভিমান”।

লোভনীয় অন্ধকারে কেঁপে উঠছে মোমবাতির লোভী শিষ। পুরনো জাফরীকাটা জানলা,টিপয় উপছে পড়া বাতিল কাগজ,একান্ত সব গৃহসাজ। আরামকেদারায় চুল এলিয়ে শুয়ে থাকেন “বরফজাদী”। তাঁর গজদন্তের মতো চামড়ায় ইলিবিলি খেলছে জাফরির আলো ও ছায়া।দেয়ালে কিশোরীর ছবির ফ্রেমে ঝোলে পাইন-মঞ্জরীর মালা।

যদিও এখানে কোনও নদী নেই,তবু তো আশা করা যায় মাঠ পেরিয়ে,আমবাগান পেরিয়ে কোনোদিন এক নদী জেগে উঠবে তার অলৌকিক সব চরভূমি,কাশ-বন আর ভাটিয়ালি নিয়ে।সে নদীর দিক থেকে আসা দমকা বাতাসে দুলে ওঠে পাইন-মঞ্জরিরা।বৃষ্টি বৃষ্টি খেলায় হেসে ওঠে কিশোরির চুলের ঝাপটা, গভীরে লেগে থাকা জলকণা।

অবিনাশ,বোকা অবিনাশ কেমন ভুল করে এই ঘর-বারান্দায় পথ হারায়।“বরফজাদী” স্বপ্ন দেবার লোভ দেখান,প্রথম নটমল্লারের লোভ,ছোটবেলার না পড়া বইয়ের লোভ,স্কুল-পাড়ার রাস্তা দিয়ে আরেকটি বার হেঁটে যাবার লোভ।

এই সব লোভের ধোঁয়া বুকে নিয়ে বাড়ানো হাত ঝেড়ে ফেলে পালাতে শুরু করে অবিনাশ।পার হয়ে আসে আলো-আধাঁরি সিঁড়ি,সাদাটে দেউড়ী,ঘুমন্ত সব রাজহাঁস।

উনি বারান্দায় এসে দাঁড়ান।নদীর দিক থেকে আসা হাওয়ায় হাওয়ায় কাশবনের মত দুলে ওঠেন। বৃষ্টি বৃষ্টি খেলায় হেসে ওঠে ওঁর চুলের ঝাপটা, চোখের পাড়।চোখের গহনে লেগে থাকা বৃষ্টি রেণু ঝিকিয়ে ওঠে লোডশেডিঙের আলোয়।

অবিনাশ টের পায়,বড় ভুল হয়ে গ্যাছে। একখানা ডানা সে ফেলে এসেছে অই অবিন্যস্ত ঘরে,কিশোরীর ছবির তলায়।

[৭]

অই গলিতে সকাল হয় ঠিক ছ’টা বাজতে পাঁচ এ।উনুনে আঁচ লাগে। তিরতিরে জল পড়তে শুরু করে,মুখে কোল্গেটের ফ্যানা আর হাতে লাইফবয় নিয়ে ভিড় জমে।লম্বা-ডাণ্ডা ঝাঁটার আঁচড়ে সাফ হয় আনাজের পচা খোসা,ডিমের খোলা,মাছের আঁশ,প্রসিদ্ধ বস্ত্রালয়ের তলাকার ধেড়ে ইঁদুরের লাশ।

এরম প্রশান্ত ভোরে একটি গর্বিত সাদাবুক কাক এসে বসে জানলার খোলা পাল্লায়। অহঙ্কারী রেজোন্যান্সে ডাক দেয় অবিনাশকে। কারণ প্রথমতঃ সে কর্মহীন,দ্বিতীয়তঃ সে পক্ষীমানব।

টেবিলের উপর রাখা এমনি এক সকালে মালতীলতা তার নকল চামড়ার স্যুটকেস নিয়ে নেমে আসে অবিনাশের শ্যাওলাময় উঠানে।মালতী অবিনাশের সমবয়েসী ছোটমাসি।চিক্কণ,কালো পাথরে কোঁদা গতর মালতী,বাঁজা,যাকে স্বামী নেয় না।বিজয়দহের দুই বিনুনী মালতী যে কিনা অবিনাশের ঘরে মধ্যরাত্রে উঠে আসত অনায়াস সাপিনীর মত।

এইখানে একবার থামা যেতেই পারে,কারণ এই যে নানা ধরনের,নানা নামের চরিত্র যেমন বরফজাদী,নামহীন কিশোরী, মালতী এখোনো এস্‌ট্যাব্লিশ্‌ড হয়নি।হবে এমন আশাও বাহুল্য।কারণ এ গল্প অবিনাশের।

আগেই বলেছি যে অবিনাশ হৃদয় চায় না,হৃদয় ভাবে না,কিন্তু বুক সে চাইতেই পারে।সুতরাং গল্পও বিক্ষিপ্ত হতে শুরু করে এই পর্যায় থেকে।

[৮]

নকল চামড়ার স্যুটকেস শিশুর কৌতূহলে জাপ্টে রয়েছে রঙ্গিন পুঁতির গয়না,লিপিস্টিক, ছেঁড়া জামার টুকরো,স্ট্যাম্প জমানোর খাতা,সাপের খোলস এমন সব আশ্চর্‍্য্য স্বপ্ন-সুখ-দুঃখ।। নির্জন দুপুরে মালতী নেড়েচেড়ে দ্যাখে সেই অলীক বুদ্‌বুদ।

যে সব অবাক হাওয়ার রাত্তিরে বকুলগাছ পেরিয়ে আসা অন্ধকার আড়াল করতো তাকে, সে ধীরে ধীরে চিকণ হয়ে উঠে, সাপিনীর মতো ধুলো মেখে মুখ রাখতো অবিনাশের পাঁজরের পাশে।সেইসব দিনে মালতী বুঝতেও পারেনি পক্ষীমানবের বীজ লুকিয়ে ছিল অবিনাশের ভিতর। যা স্পষ্টতঃ গোপন করে আজকাল তাকে একা ফেলেই উড়ে যায় অবিনাশ।

আহা এমন রাত যদি ফের আসে প্রিয়।কলকাতা “ক”এ বেজে ওঠে “আমার যাবার সময় হলো,দাও বিদায়…”

অবিনাশ ফের মউমাছি শিকারে গ্যাছে আজ।

[৯]

এ শহর রাত্তিরে ভারি মোহময়। অবিনাশ দেখতে থাকে গঙ্গার ঘাটে ঝুঁকে থাকা যতসব ঘিঞ্জি গাছ,টিমটিমে আলোজ্বলা নৌকো,মন্দির থেকে আসা শয়নারতির শব্দ।নদী থেকে ভেসে আসে জলের আঁশটে গন্ধ,মাছের ঘুমের স্বোয়াদ।

কলেজের মাঠে ফুটে থাকা নাগ-কেশরের রেণুও ভেসে আসে হাওয়ায়।কতগুলো বখাটে ছেলে অবিনাশকে প্রশ্ন করে-“মামা,গল্পটা কি?”

অবিনাশ বলে-

“তার শ্বাসের টান, আমি তামুক-খোর

তিনি পরস্ত্রী, আমি কামুক ঘোর।”

এইখানে এই দৃশ্যাবলী ফেড-আউট করে,আমরা ফের নেমে আসি ওই হযবরল মার্কা গল্প ও গলির মাঝখানে।

[১০]

যা বলার তো আগেই বলেছি,কেমন রহস্য-পুলক জাগতো শিরদাঁড়ায়,কেমন নেমে আসতো কাক-শালিখের বৃষ্টি।

মালতী কেনোই বা মালতীলতা হয়ে গেলো, অলৌকিক দোল খেতে লাগলো ল্যাম্পপোস্টের হাওয়ায়, তা আমি জানিও না।

আশা করা যায়,এই গল্পের সুরতহালে তার কোনো ছাপ পাওয়াও যাবে না।

শিকার-ফেরত অবিনাশ ফিরে এলে তাই ব্যাক-গ্রাউন্ডে বেজে ওঠে

“জানিনে কোথায় জাগো, ওগো বন্ধু পরবাসী

কোন নিভৃত বাতায়নে”………

[১১]

আবার অবধারিত সন্ধ্যে নামে গলিতে। আজ পূর্ণিমা। আবার সামনের বাড়ির ঘোষ বাবুর মেয়ে মন্টি ন্যাকা ন্যাকা গলায় গান ধরে-

“ মোহের স্বপন-অঞ্জন তব নয়নে দিয়েছি পরায়ে

…………………………।

তুমি আমারি,তুমি আমারি

মম জীবন-মরণবিহারী”

অবিনাশ তার অর্ধেক ডানা ঝাপটে উড়ে যায়।থিতু হয়ে বসে সেই মস্ত দেউড়ীঅলা বাড়ির ভাঙা আলসেয়।চাঁদের আলোয় ভেসে যায় পথের প্রতিটি ধূলিকণা। আলো-আধাঁরি থমথম করে ছাতিমফুলের গন্ধে।লাউমাচার আড়াল থেকে ঘুম-লাগা মাথা তোলে বেতডগা সাপ।

নদীর দিক থেকে আসা দমকা বাতাসে দুলে ওঠে পাইন-মঞ্জরিরা।বৃষ্টি বৃষ্টি খেলায় হেসে ওঠে কিশোরির চুলের ঝাপটা, গভীরে লেগে থাকা জলকণা।

বরফজাদী এসে দাঁড়ান শ্যাওলা-জমা আলসের পাশে,তাঁরও কাঁধে ফিন্‌ফিনে ডানা,চোখের গভীরে কুচি-কুচি জলকণা,যেন এই জনপদের কোল ঘেঁষে শিগ্‌গিরি জেগে উঠবে এক নদী,তার তীর-চর-কাশ আর ভাটিয়ালী নিয়ে।

অবিনাশ দিব্যি জানে যে একবার জেনেছে মনখারাপ সে অবশ্যম্ভাবী পাখি হয়ে যাবে। এই রাত,চাঁদনীপশর মোহের হাত থেকে ছুটি নেই।

তাই আবার উড়াল দেয় সে,এই ঘুম-ভাঙ্গানিয়া রাতে।নতুন জনপদ,খিড়কি পুকুর,মফঃস্বলী বিষাদের আশায়

[১২]

“আমাদেরও বুক শিরশির করে,

আমদেরও কাঁপন লাগে গা’য়-

আমাদের ঝুঠা প্রাইভেসী

যো কুছ ভি হো যায়ে।”

অবিনাশের ডানা থেকে উড়ে আসা স্বপ্নের ছাইপাঁশ আমাদেরও স্বপ্নে রেখে যায় ডানার আকাঙ্খা।

আমাদের হৃদয়ে লেগে থাকা দুঃখেরা পাশ ফিরে শোয়।

আসছে পূর্ণিমায় আমরাও দীর্ঘপক্ষ পাখি হব দিব্য নীল হ্রদে।

[এখানে ব্যবহৃত কবিতা ও গানগুলি রবি ঠাকুর, শ্রীজাত,ও কৌশিক আনন্দ কীর্তনীয়ার]

Facebook Comments


Tags :