দৃশ্য বদল
প্রতিবার এমন হয় ধীরেন বাউড়ীর। থানা থেকে বাড়ি ফেরার সময় মন না চাইলেও চোখ চলে যায় রেললাইনের পাশে ন্যাড়া গাছটার নীচে। প্রায় দুবছর হয়ে গেলেও এখনো স্মৃতি গুলো টাটকা, তাজা রক্তের মতো। ওই ন্যাড়া গাছটার নিচেই পাওয়া গিয়েছিল তার বড় মেয়ে রমার ধর্ষিতা দেহটা। তারপর তার জীবন টাই বদলে গেল । শুরু হল বিচারের দাবীতে এক অসম লড়াই। শাসকদলের প্রবল চাপেও পিছু হটে নি। কিছুদিনের মধ্যেই অনেককে পাশে পেয়েও গেল। পুরো এলাকা উত্তাল হয়ে উঠল বিচারের দাবীতে। রীতিমতো কোণঠাসা শাসকদল।একদিন উড়ো চিঠি আসলো আন্দোলন বন্ধ না করলে ছোটো মেয়েরও এই অবস্থা হবে । না, আন্দোলন থামে নি। যেদিন বিশু গড়াই এসে বলেছিলো সে কোর্টে গিয়ে সাক্ষী দেবে , সেদিন ধীরেন বাউড়ী হয়তো ভূল করে ভেবেছিল তার লড়াই হয়তো এবার শেষের পথে।কিন্তু ভুল ভাঙ্গতে সময় লেগেছিল মাত্র তিনদিন। বিশুর রক্তাক্ত মৃতদেহটা ধানক্ষেতে পাওয়া গিয়েছিল । বিশুর স্ত্রী কোনো এক অদৃশ্য চাপে যে কয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল তাদের মধ্যে ধীরেন বাউড়ী-র নামটাও ছিল। মাঝে মাঝেই ধীরেনের ডাক পড়ে থানায় হাজিরা দিতে হয়।আজকেই যেমন হাজিরা দিয়ে ফিরছে। আবার ন্যাড়া গাছটার নীচে তাকাল একটা কাক বসে রয়েছে। নাকী শকুন..??
Facebook Comments